সম্প্রতি সুইডেনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে। এমন জঘন্য ঘটনায় পশ্চিমাদের দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্ক, কাতার এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট। ভাষণে কোরআন হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এদিকে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিংঘ সদর দফতরে শুরু হয়েছে ৭৮তম সাধারণ অধিবেশন।
এদিন আলাদা ভাষণে কোরআন পোড়ানোর প্রসঙ্গে টেনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। গত কয়েক মাসে সুইডেন ও ডেনমার্কে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন পোড়ানো প্রকাশ্যে ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দেশ দুটির সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে আরব ও মুসলিম দেশগুলোতে।
মুসলিম দেশগুলোর নেতারা বলছেন, কোরআন পোড়ানো মতপ্রকাশের কোনও মাধ্যম হতে পারে না। এদিন জাতিংঘে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, বিষয়টি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। খুবই দুঃখজনক যে অনেক দেশের জনপ্রিয় রাজনীতিকরা এই ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতায় উৎসাহ দিয়ে আগুন নিয়ে খেলছেন। ক্ষুব্ধ তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'যে মানসিকতা বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশে ইউরোপে পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে জঘন্য আক্রমণকে উৎসাহিত করে, তা মূলত ইউরোপ নিজেদের হাতেই নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।'
একই দিন জাতিসংঘে কোরআন হাতে চুমু খান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বলেন, ইসলামোফোবিয়া এবং সাংস্কৃতিক বর্ণবৈষম্যের মতো ঘটনা পশ্চিমা দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে। পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্থ অবমাননা থেকে শুরু করে স্কুলে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোয়। সম্প্রতি ফ্রান্সের স্কুলে হিজাব এবং আবায়া পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকার। সেই সময় এর প্রতিবাদ জানান এরদোয়ান।
এদিকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানি অধিবেশনে তার বক্তব্যে বলেছেন, কোনও বিবেকহীন ব্যক্তির দ্বারাই শুধু কোরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য কাজ সম্ভব। ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কোসহ বিভিন্ন মুসলিমপ্রধান দেশ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছিল। এ নিয়ে ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের জরুরি বৈঠকও হয়। সূত্র: টিআরটি